এস. এম. তারেক, ঈদগাঁও:
ঘূর্ণিঝড় মোরা পরবর্তী গত বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নি¤œচাপের কারণে ১০ জুন থেকে টানা ভারী বর্ষণে কক্সবাজার সদর উপজেলাধীন বৃহত্তর ঈদগাঁও’র ৬টি ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও পানির নিচে। যে কারনে স্বাভাবিক হয়ে উঠেনি এখনও জনজীবন। বিশেষ করে পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী এলাকায় ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাধের অংশ দিয়ে সাগরের জোয়ারের পানি অনুপ্রবেশের কারণে ওই এলাকার কয়েকহাজার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে গত ১ সপ্তাহ ধরে। উনুন জ্বালাতে না পেরে শত শত পরিবার পড়েছে খাদ্য ও পানীয় জল সংকটে। বিধ্বস্ত হয়েছে অগনিত কাঁচা ঘরবাড়ী। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক’শ ঘরবাড়ী এবং মৎস্যঘের। ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ জানিয়েছেন, মোরা পরবর্তী সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ৭ টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ১ হাজার করে টাকা বিতরণ করা হয়েছে। অন্যকোন সরকারী সাহায্য ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে এখনও পর্যন্ত এসে পৌঁছেনি। এদিকে জোয়ারের পানির পাশাপাশি টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উজান থেকে নেমে আসা ঈদগাঁও নদী দিয়ে প্রবাহমান পাহাড়ী ঢলে সব শ্রেনিপেশার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে আগের চেয়ে আরো কয়েকগুন। কর্মজীবি মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। সুষ্ঠু ডেনেজ ব্যবস্থা না থাকাতে ঈদগাঁও বাজারে বৃষ্টির সময় ব্যবসায়ীসহ পথচারীদের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়ে। উপকূলীয় অপর দু’ইউনিয়ন ইসলামপুর ও চৌফলদন্ডীবাসীর জনজীবনেও নেমে এসেছে চরম স্থবিরতা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোন লোকজন পরিদর্শনে আসেননি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায়। এদিকে নি¤œচাপের কারনে সৃষ্ট প্রবল বাতাস আর ভারী বৃষ্টিপাতে ভেঙ্গে এবং উপড়ে গেছে হাজার হাজার গাছ। জালালাবাদ ইসলামাবাদ এবং ঈদগাঁও ইউনিয়নেও অনেক কাঁচা ঘরবাড়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। জালালাবাদ ইউনিয়নের বাহারছড়া গ্রামের মোঃ আলম জানান, ঘূর্ণিঝড় মোরা পরবর্তী বাতাস ও বৃষ্টিপাতে তার কাঁচা ঘরটি আবারও মাটিতে পড়ে গেছে। কিভাবে ঘর মেরামত করবেন সে ব্যাপারে তিনি চিন্তিত। একই এলাকার অপর ক্ষতিগ্রস্থ দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলম জানান, তারও ঘরটিও বাতাসে ভেঙ্গে গেছে, কাজকর্মও বন্ধ থাকায় দু’টানায় পড়েছেন তিনি।